নীলফামারীতে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় আফজালুল করিম (৫২) নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে সদর উপজেলা টুপামারী ইউনিয়নের কিছামত দোগাছির মৃত জানু মামুদের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) আফজালুলের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ। এসময় তার বাড়ী থেকে নন-জুডিসিয়াল ৩ সেট স্ট্যাম্প সহ বিপুল পরিমাণ স্বাক্ষরিত নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ জানায়, কথিত জ্বীনের বাদশা আফজাল ভুক্তভোগী আশরাফের বাড়ী গিয়ে তাদের ঘরে খারাপ জ্বীন রয়েছে বলে জানান। খারাপ জ্বীন তাদের স্ত্রী সন্তান সহ পরিবারের সবার ক্ষতি করবে জানিয়ে মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রথম দিন চলে যায়।
পরবর্তীতে রাতে ফোন করে জ্বীন তাড়াতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে বলে ফোন করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে জানান। এরপর জ্বীনের বাদশা তাদের গুপ্তধন দিবে বলে লোভ দেখি সু-কৌশলে ভুক্তভোগীর নিকট থেকে নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ভুক্তভোগীর ভাতিজী মোছা. রাশিদা বেগম (৩০) এর নিকট একই কায়দায় বিভিন্ন সময়ে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ৮লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্পত্তি পাইয়ে দেয়ার লোভে ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত একশত টাকা মূল্যের ৩টি ও ৫০ টাকা মূল্যের ৩ টি নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ভুক্তভোগী, তার স্ত্রী আছফুল বেগম ও ভাতীজি রাশিদা বেগম এর স্বাক্ষর নেয়।
এ বিষয়ে প্রতারণার স্বীকার মোঃ আশরাফ আলী (৪৮) থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৪(০৫)২০২২। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউপ বলেন, ভুক্তভোগীদের তাদের গোয়ালের গরু সহ আবাদী জমি বিক্রি করে প্রতারকের হাতে তুলে দেন ৮ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষরিত নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে দিয়ে মামলা করার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে কথিত জ্বীনের বাদশা। এরপর ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা দায়ের করলে জেলা পুলিশ সুপার মহদয়ের দিক নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান চালিয়ে প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।